ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনা সদস্যদের পদোন্নতিতে মাঠ পর্যায়ের সাফল্য বিবেচনায় নিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
  • ৩০৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে সাফল্য এবং প্রশিক্ষণে দক্ষতাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ভবিষ্যতে জাতির উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা চিন্তা করে এবং গণতন্ত্রকে সুসংহতকরণে দক্ষ এমন দেশ প্রেমিক কর্মকর্তাদের হাতে থাকা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা প্রকাশ করি যে, জাতির উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ আরো উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাবে।… দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রযাত্রায় তাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কাজেই এ কথা মাথায় রেখেই ভবিষ্যতে দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের কাছেই নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত।’

শেখ হাসিনা আজ ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনা সদর দপ্তরে আর্মি সিলেকশন বোর্ড-২০১৭’র বৈঠকে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদেও নেতৃত্ব গ্রহনে ক্ষেত্রে চারটি বিশেষ গুণ থাকতে হবে। যেগুলো হচ্ছে-একজন কমান্ডার, কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষক হবার জন্য প্রথমত, সেনা কর্মকর্তাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে। দ্বিত্বীয়ত, তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দেশ ও সমাজের সেবার মানসিকতা এবং উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। তৃতীয়ত, তাদের মাঠ পর্যায়ের সাফল্য থাকতে হবে। এবং চতুর্থত, তাদের অবশ্যই নেতৃত্বের যোগ্যতা, পেশাগত এক্সিলেন্স, নিয়মানুবর্তিতা, সততা এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি গণতন্ত্রিক দেশে সেনবাহিনীর খুব গুরত্বিপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুষম করতে তারা গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে পারে। কাজেই সেনাবাহিনীতে তাদের কাছেই নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত-যারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত, প্রতিযোগিতায় দক্ষ, মেধাবী এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল।

তিনি এ সময় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সিলেকশন বোর্ডকেও যোগ্যতার এই মাপকাঠি বিবেচনায় আনার আহ্বান জানান।  প্রধানমন্ত্রী পদোন্নতির জন্য সেনা কর্মকর্তা নির্বাচনে ট্রেস (টিআরএসিই- টেবুলেটেড রেকর্ড এন্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন) পদ্ধতির অন্তর্ভুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদের প্রতি তাঁর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস থাকার উল্লেখ করে বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন-সিলেকশন বোর্ডের সদস্যরা সকল ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দের উর্ধ্বে উঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থাশীল, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদেরই পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করবেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সেনা সদস্যদের পদোন্নতিতে মাঠ পর্যায়ের সাফল্য বিবেচনায় নিন

আপডেট টাইম : ০৮:২৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে সাফল্য এবং প্রশিক্ষণে দক্ষতাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ভবিষ্যতে জাতির উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা চিন্তা করে এবং গণতন্ত্রকে সুসংহতকরণে দক্ষ এমন দেশ প্রেমিক কর্মকর্তাদের হাতে থাকা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা প্রকাশ করি যে, জাতির উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ আরো উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাবে।… দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রযাত্রায় তাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কাজেই এ কথা মাথায় রেখেই ভবিষ্যতে দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের কাছেই নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত।’

শেখ হাসিনা আজ ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনা সদর দপ্তরে আর্মি সিলেকশন বোর্ড-২০১৭’র বৈঠকে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদেও নেতৃত্ব গ্রহনে ক্ষেত্রে চারটি বিশেষ গুণ থাকতে হবে। যেগুলো হচ্ছে-একজন কমান্ডার, কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষক হবার জন্য প্রথমত, সেনা কর্মকর্তাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে। দ্বিত্বীয়ত, তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দেশ ও সমাজের সেবার মানসিকতা এবং উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। তৃতীয়ত, তাদের মাঠ পর্যায়ের সাফল্য থাকতে হবে। এবং চতুর্থত, তাদের অবশ্যই নেতৃত্বের যোগ্যতা, পেশাগত এক্সিলেন্স, নিয়মানুবর্তিতা, সততা এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি গণতন্ত্রিক দেশে সেনবাহিনীর খুব গুরত্বিপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুষম করতে তারা গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে পারে। কাজেই সেনাবাহিনীতে তাদের কাছেই নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত-যারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত, প্রতিযোগিতায় দক্ষ, মেধাবী এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল।

তিনি এ সময় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সিলেকশন বোর্ডকেও যোগ্যতার এই মাপকাঠি বিবেচনায় আনার আহ্বান জানান।  প্রধানমন্ত্রী পদোন্নতির জন্য সেনা কর্মকর্তা নির্বাচনে ট্রেস (টিআরএসিই- টেবুলেটেড রেকর্ড এন্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন) পদ্ধতির অন্তর্ভুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদের প্রতি তাঁর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস থাকার উল্লেখ করে বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন-সিলেকশন বোর্ডের সদস্যরা সকল ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দের উর্ধ্বে উঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থাশীল, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদেরই পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করবেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।